চন্দন বারিক, দিঘাট্রিপ.কম : অবিশ্বাস্ব জলোচ্ছ্বাস। দিঘা সমূদ্রে এমন জ্বলোচ্ছ্বাস বহুদিন কেউ প্রত্যক্ষ করেছেন কিনা মনে করতে পারছেন না। অমাবস্যা কোটালে বৃহস্পতিবার দিঘা সমূদ্রের যে চেহারার দেখা মিলেছে তা এক কথায় ভয়ানক, শিউরে ওঠার মতোই।
এদিন সকালে দিঘার সমূদ্র তটে গিয়ে দেখা যায়, গোটা গার্ডওয়ালটাই জলে ডুবে গিয়েছে। সমূদ্রের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে বাজারের ওপর। লকডাউনের বাজারে সামান্য কিছু পর্যটক এই মুহূর্তে দিঘায় রয়েছেন। সাহস করে তাঁদের মধ্যে কিছু মানুষ সমূদ্রের এই ভয়ানক চেহারা প্রত্যক্ষ করতে পেরেছেন।
তবে গোটা এলাকায় টানা টহলদারী চালাচ্ছে পুলিশ। কোনও পর্যটক যাতে অতিরিক্ত রোমাঞ্চের আশায় গার্ড ওয়ালের ওপর উঠে না পড়ে সে দিকে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসন। তবে আজকের দিঘা সমূদ্রের যা চেহারা তা এক কোথায় ভয়ঙ্কর রোমাঞ্চকর বলেই প্রত্যক্ষদর্শীদের মত।
কলকাতার বাসিন্দা জিয়া জানিয়েছেন, গোটা পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসেছেন তাঁরা। তবে দিঘার এমন চেহারা জন্মেও তাঁরা দেখেননি বলেই জানিয়েছেন। লকডাউনে কিছুটা তাজা হাওয়ার সন্ধানে দিঘা উপভোগ করতে এসেছেন তাঁরা।
নিউআলিপুরের বাসিন্দা দোলা ব্যনার্জী জানিয়েছেন, স্বামী, ছেলে, বৌমা, নাতনিকে নিয়ে দিঘায় এসেছেন তাঁরা। জলের অমোঘ টানেই বারেবারে ছুটে এসেছেন তাঁরা দিঘায়। তবে বারেবারে দেখা চেনা সমূদ্রের এমন ভয়ানক চেহারা আগে কখনওই চাক্ষুষ করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রশাসন সূত্রে পাওয়া খবর, ইতিমধ্যে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের জেরে শংকরপুর এলাকায় সমূদ্র বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। এছাড়াও তাজপুর, মন্দারমনি প্রভৃতি এলাকায় ঢুকে পড়েছে নোনা জল। খবর পেয়ে এলাকায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রামনগর ১ ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মহাপাত্র জানিয়েছেন।
তিনি জানান, প্রতিবছর এই সময়টা পূর্ণিমা-অমাবস্যায় সমূদ্র ফুলে ওঠে। তবে এবার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। যার জেরে সমূদ্র বাঁধ টপকে আরও বেশী পরিমানে জল ঢুকছে এলাকায়। শংকরপুর, জামড়া, চাঁদপুর, ট্যাংরামারী, জলধা এলাকাগুলিতে প্রচুর পরিমানে জল ঢুকছে। দিঘার সাপুয়ায় দোকান পাট তুলে নিতে হয়েছে।
#newzbangla
#BengaliNews #DighaTrip #নিউজবাংলা #Newsbangla #BengalUpdate #DighaHighTide #DighaJalocchas
No comments