
চন্দন বারিক, দিঘাট্রিপ.কম : দিঘাকে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে তোলার জন্য
পুরানো অস্থায়ী দোকানগুলি ভেঙে একে একে গড়ে উঠেছে ঝাঁ চকচকে মার্কেট। কিন্তু সেই
মার্কেটে পুনর্বাসন পাননি অনেক ব্যবসায়ী। এমনই নানান অভিযোগ উঠেছে স্টল বিলির
ঘটনায়। এবার তাই নিশ্চিত পুনর্বাসন না পেলে কোনও ভাবেই উচ্ছেদ নয়, এমনই দাবীতে সরব হল দিঘার সবুজের হাট ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা।
পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচী
অনুযায়ী সোমবার সকাল থেকেই দিঘা শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদ-এর অফিসের সামনে বিক্ষোভ
দেখাতে শুরু করেন নিউ দিঘার শনি মন্দির সংলগ্ন এলাকার কয়েক'শ ব্যবসায়ী। এর আগে গত শনিবার এই একই দাবীতে শনি মন্দিরের
সামনের গুরুত্বপূর্ণ ১১৬বি জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।
তবে সেদিনই ব্যবসায়ীরা
হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন, উন্নয়ন পর্ষদ যদি পুনর্বাসনের বিষয়টি আগাম নিশ্চিত না করে
তাহলে আন্দোলনে সামিল হবেন তাঁরা। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এই এলাকায় প্রায় ৪০০ ব্যবসায়ী রয়েছেন। এর মধ্যে ১১টি
দোকানকে এখনই ভেঙে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তাঁদের দাবী, কোনও রকম পুনর্বাসনের বিষয়ে কোনও কথা না বলেই একপ্রকার
গায়ের জোরে একে একে উচ্ছেদের কাজ করতে চাইছে স্থানীয় প্রশাসন। পরে স্টল বিলির সময়
আসল ব্যবসায়ীরাই বাদ পড়ে যাবে বলেই আশংকা প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
খবর পেয়ে দিঘা থানার
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে বিক্ষোভকারীদের DSDA-এর অফিসের মূল গেট ছেড়ে দিতে বলে। পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পর ব্যবসায়ীরা
মূল গেট ছেড়ে দিলেও তাঁদের দাবী থেকে সরছেন না ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন,
গত শনিবার তাঁদের উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে DSDA। ১ মার্চ-এর মধ্যে ১১টি দোকান ভেঙে নিতে বলা হয়েছে। যদিও সেই দোকান এখনও
ভাঙা হয়নি। বা উন্নয়ন পর্ষদ এখনও দোকানগুলি ভেঙে ফেলার কোনও চেষ্টাই করেনি। তবে
ব্যবসায়ীরা সন্ত্রস্ত্র, যে কোনও সময় পুলিশ দিয়ে দোকান উচ্ছেদ করার চেষ্টা হবে।
তাই নিশ্চিত পুনর্বাসনের দাবীতে একটানা আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
No comments