চন্দন
বারিক, দিঘাট্রিপ.কম : লেখাপড়ায় অমনোযোগী হওয়ায় বাবা-মা বকুনি দিয়েছিল দুই কিশোরকে।
সেই বকুনি খেয়েই সোমবার ১১২ বি/১ তপসিয়া রোডের রাজীব আহমেদ এবং ২ আর রাধাগোবিন্দ সাহা
লেনের রেহান আলি বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে
নিখোঁজ কিশোরদ্বয়ের সন্ধানে ব্যর্থ হয়ে তাঁদের পরিবার দ্বারস্থ্য হয় পুলিশের। কিন্তু
আচমকা কোথায় গেল দুই কিশোর তা খুঁজে বের করতে গিয়ে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। এরই মাঝে
মঙ্গলবার সকালে দুই মূর্তিমান হাওড়া থেকে ট্রেন ধরে হাজির হয় দিঘায়।
কিন্তু
দিঘায় এসে কোথায় যাবে তা আর বুঝে উঠতে পারেনি তারা। বেলা ১০টা নাগাদ ট্রেন থেকে নামার
পর ইতিউতি ঘুরে বেড়াতে থাকে দুই কিশোর। এদিকে তাঁদের এভাবে সন্দেহজনক ভাবে ঘুরে বেড়ানোর
বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। তাঁরা তৎক্ষণাৎ দিঘা থানায় খবর দেন।
খবর
পেয়ে পুলিশ এসে দুই কিশোরকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করতেই তাঁরা অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে শুরু
করে। এরপরেই তাঁদের থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে একটু চেপে ধরতেই সত্যিটা গড়গড়িয়ে
বলে ফেলে দুই কিশোর। তাঁরা জানিয়েছেন, দু'জনেই কলকাতার সেন্ট থমাস ডে স্কুলের দশম শ্রেণীর
ছাত্র। আর দু'জনকেই তাঁদের পরিবারের তরফে পড়াশোনা নিয়ে বকাঝকা করা হয়েছিল।
সেই
রাগেই সোমবার তাঁরা বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসে। রাতে তারা হাওড়া স্টেশনে কাটিয়ে দেয়। সকাল
হতেই দিঘাগামী ট্রেনে চড়ে বসে দুই কিশোর। তবে বেলার দিকে দিঘায় এসে কোথায় যেতে হবে
সেই বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি তারা। পকেটে টাকাও খুব বেশী ছিল না। শেষমেশ
পুলিশের তৎপরতায় তাঁদের উদ্ধার করা গিয়েছে।
মঙ্গলবার
বিকেলে দিঘা থানা থেকে খবর পেয়েই ছুটে আসেন দুই কিশোরের বাবা শেখ সানোয়ার ও নাসির আহমেদ।
পুলিশের তৎপরতায় দুই কিশোরকে ফিরে পেয়ে দিঘা থানার পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁরা।
দিঘা থানার ওসি বাসুকিনাথ ব্যানার্জী জানিয়েছেন, দুই কিশোরকে খাইয়ে দাইয়ে তাঁদের পরিবারের
হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
No comments