চন্দন বারিক, দিঘা : গত কয়েক বছরে সৈকত শহর দিঘায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পর্যটকের সংখ্যা। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে গাড়ির বিপুল পরিমানে ভীড়। পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার দিঘার পার্কিং ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ …
চন্দন বারিক, দিঘা : গত কয়েক বছরে সৈকত শহর দিঘায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে
পর্যটকের সংখ্যা। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে গাড়ির বিপুল পরিমানে ভীড়। পরিস্থিতি সামাল
দিতে এবার দিঘার পার্কিং ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিল দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন
পর্ষদ (ডিএসডিএ)।
পুজোর আগেই এই প্রকল্পের প্রথম দফার কাজ শেষ করার পরিকল্পনা
রয়েছে বলে ডিএসডিএ'র সিইও সুজন দত্ত। দিঘা বাইপাসের ধারে এই পার্কিং তৈরি হয়ে গেলে
শহরের ভেতরে আর কোনও গাড়ি চলাচলে অনুমতি দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গতঃ
রাজ্য তথা ভিন রাজ্যের বহু মানুষ সুযোগ পেলেই ছুটে আসছেন পর্যটন কেন্দ্র দিঘাতে।
আগে যেখানে শুধুমাত্র সপ্তাহের মধ্যে শনি ও রবিবার ভীড় থাকত এখন তা এক্কেবারে বদলে
গিয়েছে। বর্তমানে সপ্তাহের সব দিনই পর্যটকের ভীড়ে গমগম করে দিঘা। ফলে দিঘার শহরের
মধ্যে যানজোট চূড়ান্ত বেড়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে গাড়ি রাখার জায়গারও বড়ই সমস্যা।
এই
নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। অবশেষে
সিদ্ধান্ত হয়েছে নিউ দিঘার অমরাবতী পার্কের পাশে থাকা টয়ট্রেনের পেছনের ফাঁকা মাঠে
প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে গড়ে তোলা হচ্ছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। তবে প্রথম দফায়
৪ কোটি টাকা ব্যয় করা হচ্ছে। পরবর্তীকালে ধাপে ধাপে এই প্রকল্পে আরও বরাদ্দ বাড়ানো
হবে।
এই প্রসঙ্গে
রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি জানিয়েছেন, রাস্তায় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ক্রমেই বাড়ছে। তাই
দিঘাকে যানজট মুক্ত করতে স্থানীয় গাড়ি সংগঠনগুলির সঙ্গেও বৈঠক করা হয়েছে। সেখানেই
সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে শহরের মধ্যে ছোট বড় কোনও গাড়িকেই ঘুরতে দেওয়া হবে
না।
বাইপাস দিয়েই যাতায়াত করবে সমস্ত গাড়ি। তবে পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য পর্যাপ্ত
পরিমানে টোটো ও রিক্সা থাকছে বলে জানিয়েছেন তিনি। আগামী পুজোর মধ্যেই প্রকল্পটি
শুরু হয়ে যাবে বলে তাঁর অভিমত। তিনি আরও জানিয়েছেন, গাড়ি পার্কিংয়ের মাঠে বড়সড়
একটি মার্কেটও গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়ে
গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।